রবিবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে ১৮ নম্বর সড়কের ৪৭ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। উত্তরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেহেনা স্কুল থেকে ফিরে আসার আগেই ঘুম ভেঙে যায় ছোট মেয়ের। বাসায় কাউকে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে সে। এ ঘর থেকে ও ঘরে ছুটে গিয়ে কাউকে না পেয়ে তার কান্না আরও বেড়ে যায়। রেহেনা স্কুল থেকে ফিরে এসেই বাসায় ঢোকার আগেই শুনতে পান মেয়ের কান্না। দ্রুত দরজা খোলার জন্য চাবি বের করেন তিনি। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তালা আর খোলে না। মেয়েকে নানা কথা বলে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন রেহানা। কিন্তু ছোট্ট ওই অবুঝ শিশুকে শান্ত করা সম্ভব হয় না।
এরমধ্যে আশাপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও হাজিন হন রেহানাদের বাসার সামনে। তারাও চেষ্টা করতে থাকেন তালা খোলার। তালা-চাবিওয়ালার সন্ধানেও যান কেউ কেউ। কিন্তু পাওয়া যায় না কোনও তালা-চাবিওয়ালার খোঁজ। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রেহেনার এক প্রতিবেশী বুদ্ধি করে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে। তারা এলে তবে তালা খোলা হয়।
সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে খবর পাই। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। বাসায় গিয়ে ভেতরে ছোট্ট শিশুর কান্নার শব্দ পাই। ফ্ল্যাটের দরজা এমনভাবে লক হয়েছিল যে চাবি দিয়ে খোলা যাচ্ছিল না। পরে আমরা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তালাটি খোলার ব্যবস্থা করি। শিশুটিকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’
মো. দুরুল হুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিদিনে মতো বড় মেয়েকে স্কুলে দিতে বের হয়েছিলেন আমার স্ত্রী। ছোট মেয়ে তখন ঘুমে। বড় মেয়েকে স্কুলে দিয়ে ফিরে আসার পরও ছোট মেয়ে সাধারণত ঘুমেই থাকে। কিন্তু আজকে ওর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। এরই মধ্যে তালাটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তালা খুলে দেয়।’