মঙ্গলবার (৬ মার্চ) রাত ১২টার দিকে দুদক টিমের সদস্যরা কিশোরগজ্ঞ শহরের হারুয়া এলাকার কাতিয়ারচর খুরশীদের মাঠ সংলগ্ন কিশোরগঞ্জ জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মো. সৈয়দুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি টাকার মধ্যে ৯২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম এই টাকা উদ্ধার করে। তদন্ত টিমের সদস্যরা আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধারের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মো. সৈয়দুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দুদক কর্মকর্তারা মো. সৈয়দুজ্জামানের বাসায় লুকানো বাজারের ব্যাগ থেকে টাকা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত টাকা মঙ্গলবার রাতেই কিশোরগঞ্জ মডেল থানার জিম্মায় রাখা হয়েছে। আজই আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে উদ্ধারকৃত ৯২ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারিতে জমা রাখা হবে। দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম এত বেশি পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ওইদিনই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডলকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই মামলার আসামি বর্তমান পিরোজপুর জেলার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে পিরোজপুর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করা হয়। তদন্তের স্বার্থেই তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।