খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ পাঠানো হয়েছে সিএমএম আদালতে

আদালত থেকে বেরিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের কপি সিএমএম কোর্টে পাঠানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকাল পাঁচটা ৪২ মিনিটে হাইকোর্ট বিভাগের ডেসপাস (আদান প্রদান) সেকশনের অফিস সহায়কের মাধ্যমে এ জামিন আদেশের কপি  নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ

আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই মামলার আপিল আবেদনে ৪৪টি  যুক্তি তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেন। নিম্ন আদালত থেকে সেই নথি ১১ মার্চ রবিবার দুপুরের পর উচ্চ আদালতে এসে পৌঁছায়। তবে এদিনই জামিন বিষয়ে আদেশ ঘোষণার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ নির্ধারিত ছিল আদালতের। এদিন সকালে আদালত যথারীতি বসলেও নথি পর্যালোচনার জন্য আদেশ ঘোষণা আরও একদিন পিছিয়ে সোমবার তারিখ নির্ধারিত করেন।  সোমবার খালেদা জিয়ার কম সাজা, স্বাস্থ্যগত অবস্থা, বয়স ইত্যাদি বিবেচনাসহ পেপারবুক তৈরি না হওয়ায় তাকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজের কাছে আপিল করলে আজ মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিচারক খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রেখে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরপর খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার আদেশ হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়।