কদমতলীতে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের গোলাগুলি, আটক ২

রাজধানীর কদমতলীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ডাকাত দল। পাল্টা গুলি ছুড়ে পুলিশ। পরে গুলিবিদ্ধ একজনসহ আটক করা হয়েছে দুই ডাকাতকে। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে কদমতলী ওয়াসা বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক দুজন হলো, গুলিবিদ্ধ মো. আব্দুর  রশিদ (৩৯) ও ইসমাইল হোসেন (৩৬)।

ঘটনাস্থল থেকে ১১টি ককটেল, চারটি ককটেলের বিস্ফোরিত অংশ, একটি চাপাতি, দুটি চাকু, দুটি পাটের রশি, একটি স্কচটেপ ও ৫ টুকরো কালো রংয়ের কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ওয়াসা বটতলা এলাকায় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ও ককটেল ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে আমরাও গুলি ছুড়ি। এসময় ডাকাত আব্দুর রশিদ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে আটক করা হয়। আর পালানোর সময় আটক করা হয় ইসমাইলকে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। এসময় একজন এসআইসহ একজন পুলিশ কনস্টেবল ও একজন আনসার সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

আব্দুর রশিদ এর আগেও আটক হয়ে ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছে বলে জানান ওসি এম এ জলিল। তিনি বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রশিদ জেলে ছিল। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি ডাকাতির ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সে ও তার দলের সদস্যরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। কদমতলী, ফতুল্লা, সিদ্দেশ্বরী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা ডাকাতি করে।’

আটক দুজন ও পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি ডাকাতির ও অন্যটি পুলিশের ওপর হামলা এবং বিস্ফোরক মামলা। পলাতক বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি এম এ জলিল।