লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

nonameলন্ডনে উদযাপিত হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু করেন।

এ উপলক্ষে হাইকমিশনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. নাজমুল কাওনাইন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্টজন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে সপরিবারে অংশ নেন।

আলোচনার শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।

সুলতান মাহমুদ শরীফ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মের তাৎপর্য এবং শিশুদের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি জাতির জনকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান। শিশুদের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।

হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আমাদের সবার জন্য আনন্দের। এ মহান নেতার জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না।

তিনি বলেন, এ সপ্তাহেই বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য কমেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের পথে দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে তার কর্মময় জীবন থেকে দীক্ষা নিতে হবে। ত্যাগ ও দেশ গড়ার মন্ত্রে দীপ্ত হয়ে স্বীয় অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এবং কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের জন্য হাইকমিশনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ীদের সার্টিফিকেটসহ পুরস্কার দেওয়া হয়। সবশেষে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়।