সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ

হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এ সময় আদালতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি রায়ের বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের বিষয়ে রবিবার ( ১৮ মার্চ) আদেশের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ওই সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ১৫ জানুয়ারি একই বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিভক্ত আদেশ দেন।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনও নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনও ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি-(ক) ওই দল হতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। তবে তিনি সে কারণে পরবর্তী কোনও নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন না।’

ওই আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না’—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। কিন্তু বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিটটি সরাসরি খারিজের আদেশ দেন।

পরে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় একক বেঞ্চ গঠন করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হওয়া সংক্রান্ত ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের’ বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। ওই রিট আবেদনে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।