বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারী এখন ঢামেকে

আহত শাহীন ব্যাপারীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারী দেশে ফিরেছেন। তাকে  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৩ টা ২৮ মিনিটে দেশে আসেন তিনি। বিমানবন্দর থেকেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। ডা. সামন্ত লাল সেনকে প্রধান করে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ড শাহীন ব্যাপারীসহ বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার সার্বিক বিষয় তদারকি করছে।

এর আগে নেপাল থেকে ওই দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদ মুমু (৩০), মেহেদী হাসান সুমন (২৯), সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা (২২), আলমুন নাহার অ্যানি (২২ ) এবং রুবায়েত (৩২)কে দেশে এনে ঢামেকে তাদের চিকিৎসা শুরু করা হয়।

এ বিষয়ে আজ রবিবার আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে ৫ জন  চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সবাই ভালো আছেন ‘

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন,  ‘বাংলাদেশে ফেরত আসা সব রোগী ভালো আছেন এবং স্থিতিশীল আছেন। যেহেতু হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র  না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলি না। সেহেতু তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন।’

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এসব রোগীর পাশে ভিড় না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমানটিতে চার জন ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৪৯ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানটির ৪ জন ক্রুসহ  ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও চীনের একজন যাত্রী রয়েছেন। আহত ২২ জন আরোহীর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১১ জন নেপালি ও একজন মালদ্বীপের। গত শনিবার মোট ২৮টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৭ জন, নেপালি ১০ জন ও একজন চীনা নাগরিক।