নেপালে বিমান বিধ্বস্ত: আহতদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ডে যুক্ত হলেন আরও একজন

 



ঢামেকনেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে যুক্ত হলেন নতুন এক চিকিৎসক। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন। এ নিয়ে বোর্ডের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪।
রবিবার (১৮ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আাবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।’
ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘নেপাল থেকে আসা রোগীরা ভালো আছেন। আজ সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা তাদের পযর্বেক্ষণ করেছেন।’
রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত একজন সিস্টার বলেন, ‘রোগীরা এমনিতে ভালো আছেন। তাদের সবচেয়ে ভাল ট্রিটমেন্ট আমরা দিচ্ছি।’
আহত শেখ রাশেদ রুবাইয়াতের বোন ডা. ফারজানা শারমিন জানান, সকালে মেডিক্যাল বোর্ড এসে দেখেছে।
নেপালে আহতদের নিরাপত্তার জন্য আনসাররা দায়িত্ব পালন করছে। কেউ যেন তাদের হয়রানি না করতে পারে এজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় ১৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে এ বোর্ড গঠন করা হয়।
বোর্ডে থাকা চিকিৎসকরা হলেন- ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জারি ও প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম,ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ড. সাজ্জাদ হোসেন খন্দকার, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক ড. রায়হানা আওয়াল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক আলম, ঢামেক হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ড. এজেডএম মোস্তাক হোসেন তুহিন, ঢামেক হাসপাতালের আর্থোডিক্স সর্জারি বিভাগের প্রধান ড. মো. শামসুজ্জামান, ঢামেক হাসপাতালের অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান ড. মোজাফফর হোসেন, ঢামেক হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দিন ও সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার জামাল উদ্দিন।