৩০ লাখ জাল ভারতীয় মুদ্রাসহ গ্রেফতার ৪, সরঞ্জাম জব্দ

জাল ভারতীয় মুদ্রাসহ গ্রেফতার ব্যক্তিরারাজধানীতে ৩০ লাখ জাল ভারতীয় মুদ্রাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে জাল মুদ্রা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- হুমায়ুন কবীর, সাইফুল ইসলাম, স্বপন দত্ত ও সাইদুর রহমান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩০ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কার্টিজ, বিশেষ ধরনের কাগজ, স্কেল, গ্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তাদের চক্রের দলনেতা হুমায়ুন কবির। সে একযুগেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির কাজে জড়িত। মাসখানেক আগে রাজশাহী থেকে গ্রেফতার হওয়া জাল মুদ্রা তৈরি চক্রের অন্যতম হোতা দরুদুজ্জামানের হাত ধরে এই কাজে সম্পৃক্ত হয় হুমায়ুন। হুমায়ুন তার আপন ছোট ভাই কাউসারকে নিয়ে নিজেই একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, ‘এই জাল মুদ্রা তৈরির সদস্যদের বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হলেও তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও পুরনো পেশায় ফিরে যায়। আদালতে এই চক্রগুলির আইনজীবী নিয়োগ করা থাকে। গ্রেফতারের পরপরই ওই আইনজীবীরা তাদের জামিন পাইয়ে  দেয়। আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, এই চক্রের সদস্যদের ঠিক করা আইনজীবীরাও একটি সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করে। এমনকি আইনজীবীরা কোনও ফিস ছাড়াই জামিনের ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে চক্রের সদস্যরা জামিনে বের হয়ে আইনজীবীদের টাকা পরিশোধ করে।’

তিনি আরও জানান, জাল ভারতীয় মুদ্রাগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। ভারতীয় সীমান্তের  গরুর হাট এবং কিছু কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় এসব মুদ্রা পাচার করা হয়। ভারতীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গেও এ দেশের সিন্ডিকেটের যোগাযোগ রয়েছে। চক্রের সদস্যরা প্রতি এক লাখ জাল ভারতীয় রুপি বাংলাদেশি ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।