পদ্মার অবৈধ বাঁধ অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশ



মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলই ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নঘেঁষা পদ্মা নদীতে নির্মিত বাঁধ দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অবৈধভাবে এসব বাঁধ নির্মাণে কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে মুন্সীগঞ্জের ডিসি-এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকের এ সংক্রান্ত প্রকাশিত এক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি পদ্মা নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে টোল আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের ডিসি, এসপি, সদর উপজেলার ইউএনও, শিলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২১ মার্চ) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পদ্মায় অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে টোল আদায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, 'মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলই ও দিঘিরপাড় ইউনিয়ন ঘেঁষা পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করে ট্রলি, মহেন্দ্র ও মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণস্থলে টোলঘর বসিয়ে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ বাঁধের কারণে পদ্মা নদীর জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহিত হওয়ার স্বাভাবিক গতি বন্ধ হয়ে গেছে।'