৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংগীতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সংস্কৃতিকর্মী সংগীতার বিরুদ্ধে গাজী রাকায়েতের দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ মার্চ) বিকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে মামলা প্রত্যাহার ও গাজী রাকায়েতের বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে সমাবেশসমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘৫৭ ধারা ব্যবহার করে আপনি (গাজী রাকায়েত) আপনার ক্ষমতাকে অপব্যবহার করতে চেয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহার করবেন। তার মতো এ ধরনের লোকের জায়গা সংস্কৃতি অঙ্গনে নেই।’

সংহতি সমাবেশে মানবাধিকারকর্মী জাকিয়া শিশির বলেন, ‘৫৭ ধারা একটি কালো আইন। কিন্তু গাজী রাকায়েতের মতো একজন ব্যক্তি এ আইনটি ব্যবহার করেছেন, এটা ভাবতে কষ্ট হয়। তিনি যদি এ অপকর্মের জন্য দায়ী না থাকেন, তাহলে কেন তিনি এ আইনটির সাহায্য নিলেন?’

লেখক সাদিয়া নাসরিন বলেন, ‘গাজী রাকায়েত বলেছেন তার ফেসবুক আইডি নাকি হ্যাক হয়ে গেছে, কিন্তু হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার এতো দেরি হলো কেন? আপনাদের মতো মানুষেরা নারীকে অপমান করে হ্যাক হিসেবে চালিয়ে দিবেন, এটা কেউ মানবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘৫৭ ধারা একটি কালো আইন। এ আইনটি কোনও ভদ্রলোককে ব্যবহার করতে দেখিনি। ৫৭ ধারা ব্যবহার করে মামলা করে তিনি একই সঙ্গে দুটি অপরাধ করেছেন।’

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রকাশক রবিন আহসান, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আদনান রিয়াদ, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকি আক্তার, তরুণ নির্মাতা সংগঠনের পরিচালক সাহাদাত রাসেল, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংস্কৃতিকর্মী সংগীতা ফেসবুকে গাজী রাকায়েতের সঙ্গে কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। গাজী রাকায়েত দাবি করেন, তার ফেসবুক আইডি পরিচিত আরও কয়েকজন ব্যবহার করেন, তাদেরই কেউ এ কাজ করে থাকতে পারেন। এরপর তিনি সংগীতার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।