বদরুল ইসলাম আরও জানান, ‘আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আবার মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছি। আজ মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ছিলেন প্রফেসর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি লাইফ সাপোর্ট চালিয়ে যাবো।’
মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার মতো অবস্থায় এখন নেই। আর বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, উন্নত যা চিকিৎসা আছে এখানেই সম্ভব। তার শারীরিক লক্ষণ যা দেখলাম তাতে ক্লিনিক্যাল ডেডও বলা যাবে না। উনি ডায়াবেটিক ছিলেন, আর স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ দুটিই তার এই অবস্থার কারণ বলে মনে করছি।’
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় রবিবার (১৮ মার্চ) সকালে আফসানাকে বাসা থেকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিউরোসায়েন্সে আনা হয়। রবিবার রাত ১১টার দিকে আফসানা আবার স্ট্রোক করেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল দেখে আবার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস থাকার কারণে অবস্থা আরও জটিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হন পাইলট আবিদ সুলতান। সোমবার তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।