পল্লবীর ঝুট ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতপল্লবীর ঝুট ব্যবসায়ী মো. জনি হত্যা মামলায় ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন মাঈনুল ইসলাম রাজন নামের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সাক্ষী।

বুধবার (২১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে নিহত জনির প্রতিবেশী রাজন এ সাক্ষ্য দেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি পক্ষ থেকে সাক্ষীকে জেরা করার জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক জেরার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। আইনজীবী আরও জানান, এর আগে মামলায়  রকি ও  শরীফ আহমেদ টিটু নামে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, এএসআই রাশিদুল হক, পুলিশের সোর্স মো. সুমন ও মো. রাসেল।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার রাতে ইরানি ক্যাম্পে বিল্লাল নামের এক ব্যক্তির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ছিলেন জনি, তার ভাই রকিসহ সাক্ষীরা। রাত ২টার দিকে পুলিশের সোর্স আসামি সুমন মাতাল অবস্থায় গায়ে হলুদের মঞ্চে উঠে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। একপর্যায়ে জনি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। কিন্তু সুমন আবারও একই কাজ করলে জনির সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পরে সুমনকে চড় মারেন জনি। সুমন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আধঘণ্টা পর এসআই জাহিদসহ ২৫/২৬ জন পুলিশ ও লোকজন নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িতে চড়াও হয় সুমন। তারা সেখানে ভাঙচুর করে এবং জনি, রকিসহ কয়েকজনকে ধরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে রকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। আর জনিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পল্লবী থানা এলাকায় ইরানি ক্যাম্পে ওই নির্যাতনের পর মারা যাওয়া ঝুট ব্যবসায়ী মো. জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি ওই বছরের ৮ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন একই আদালতে। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল এসআই জাহিদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।