মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সদর দফতরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম-এর নেতাকর্মীদের এক মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান একথা জানান। ডিজি সংগঠনের নেতাদের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে নাগরিকদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। এসময় সাংবাদিক নেতারাও পাসপোর্ট পেতে মানুষের ভোগান্তির কথা ডিজিকে বলেন। ডিজি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বিদেশের ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশিদের হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বারবার পাসপোর্টের নাম ও বয়স পরিবর্তন করায় বিদেশের বিভিন্ন ইমিগ্রেশনে দেশের নাগরিকরা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। জেরার মুখে পড়ছেন। এতে দেশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এখন থেকে পাসপোর্টের নামের বানান ভুল ব্যতীত ইস্যুকৃত পাসপোর্টের অন্য কোনও সংশোধন করা যাবে না।’
রোহিঙ্গাদের কাছে পাসপোর্ট যাওয়ার বিষয়ে তিনি পুলিশ ভেরিফিকেশনের ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সম্প্রতি রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট পাওয়ার তথ্য আসছে। অধিদফতর পুলিশ ভেরিফিকেশনের ওপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে।’ দেশের সব নাগরিকের কাছে স্মার্টকার্ড থাকলে পুলিশ ভেরিফিকেশনেরও দরকার হতো না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যার-তার হাতে পাসপোর্টও যেতো না।’
বিদেশে গিয়ে অনেক নাগরিক বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করে ডিজি বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা পাসপোর্টকে মূল্যায়ন করতে জানি না। বিদেশে গিয়ে পাসপোর্ট ফেলে দেই! এজন্য ই-পাসপোর্ট করা হচ্ছে। এটি শিগগিরই চালু হবে। এতে পাসপোর্টের অবমূল্যায়ন হবে না।’
সভায় অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু, এডিজি এটিএম আবু আসাদ, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আছাদুজ্জামান, সহ-সভাপতি জামিউল আহসান সিপু, রুহুল আমিন তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, অর্থ সম্পাদক উজ্জল জিসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জামিল খান, দফতর সম্পাদক ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে নাগরিকরা পাসপোর্ট করতে এসে কোনও হয়রানির শিকার হচ্ছেন না বলে দাবি করেন ডিজি। তিনি বলেন, ‘মূলত ফরম পূরণ করতে, সত্যায়িত করতে এবং ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে গ্রাহকরা দালালের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এ দায় পাসপোর্ট অধিদফতর নেবে না।’ অধিদফতরের কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সরাসরি ডিজির দফতরে অভিযোগ করারও আহ্বান জানান তিনি।