হোটেল ওলিও’তে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী জঙ্গি গ্রেফতার

হুমায়ারা ওরফে নাবিলা। জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি।

রাজধানীর পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনালে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক নারী জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) । তার নাম হুমায়ারা ওরফে নাবিলা। বুধবার রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ আগস্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্থের যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সিটিটিসির উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, হুমায়ারা নব্য জেএমবির সিস্টার উইংয়ের দায়িত্বশীল ছিল। তার স্বামী তানভীর ইয়াসির করিমও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত। পান্থপথের ঘটনায় এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর গুলশান থেকে তানভীর করিমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, তানভীর গ্রেফতার হওয়ার পর হুমায়ারা নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা আকরাম হোসেন খান নিলয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে কর্মকাণ্ড চালাতো।

ওই কর্মকর্তা জানান,হুমায়ারা ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। পরে মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করে। নর্থসাউথে পড়ার সময় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরে হুমায়ারা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের অদূরে শুক্রাবাদের পান্থপথে অবস্থিত হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের পুরনো ভবনে জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে এমন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ অভিযানে সাইফুল নামে এক জঙ্গি আত্মঘাতী হয়। ঘটনার পর সিটিটিসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, তার কাছে যে বোমা ছিল তা নিয়ে ওইদিন ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সাইফুলের। ওই ঘটনার পর থেকেই এ হামলার মদতদাতাদের খুঁজছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এ সংক্রান্ত আগের বিশেষ খবর: জঙ্গি সাইফুলের বোমা ৩২ নম্বরে ফাটলে কী হতো?