ফেসবুকে যৌন হয়রানি, ক্ষমা চেয়ে পার পেলো অপরাধী

 



মুচলেকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে যৌন হয়রানি করার পর প্রতিবাদের মুখে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে সেই অপরাধী। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে সে মুচলেকা দিয়েছে।


মুচলেকাতে ওই উত্ত্যক্তকারী লিখেছে—‘গত ২৬ মার্চ ২০১৮ তারিখে এক ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফেসবুকে যে চ্যাট হয়েছে তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং লজ্জিত। একইসঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে আমি এ ধরনের কাজ করবো না, যদি করি তাহলে আইনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবো।’
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী এক নারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অপরাধী সাড়ে ৭টায় ডিবি অফিসে উপস্থিত হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ৮টার দিকে সেখানে পৌঁছাই। সেখানে ডিবির কর্মকর্তা ভিকটিমের কথা শোনেন, পাশাপাশি আমাদের বক্তব্য শোনেন, কীভাবে দুজনের পরিচয়, কীভাবে বাজে অফার করে, সবকিছু তাদের জানানো হয়।’
তিনি জানান, অপরাধ গুরুতর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়। এ সময় অপরাধী মুচলেকা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। এরপর ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবে। এরমধ্যে সে ভিকটিমের বিরুদ্ধে উল্টো থানায় জিডি করেছিল সেটি তুলে নেবে বলেও জানিয়েছে।
আরেক আন্দোলনকারী নারী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে ডিবি কার্যালয়ে যায়। সেখানে সে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় এবং মুচলেকা দেয়। আমি মনে করি, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের মেয়েদের বিজয় হয়েছে। এর মাধ্যমে যারা মেয়েদের ফেসবুক আইডি খুঁজে খুঁজে হয়রানি করে তারা সতর্ক হবে। তাদের কাছে এই বার্তা যাবে, ফেসবুকে কোনও মেয়েকে হয়রানি করে পার পাওয়া যাবে না।’
জানা যায়, ভিকটিম তরুণীকে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। এরপর তার সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাটে এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তা নিয়ে প্রতিবাদ ওঠে।
এই অপরাধীর বিরুদ্ধে এর আগেও নারীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছিল। একটি দৈনিক পত্রিকায় চাকরি করার সময় নারী সহকর্মী এবং অফিস বসদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।