যারা আইন প্রণয়ন করেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। শনিবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোড়ক উন্মোচন করা বই দুটির নাম ‘হিউম্যান রাইটস: থিওরি, ল’ অ্যান্ড প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘সমাজ, রাষ্ট্র, মানবাধিকার’। বই দুটির লেখক মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর মিজানুর রহমান।
সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে আমরা সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ করি সেটা সন্তোষজনক নয়।’ হিন্দু, খ্রিস্টান ও দলিত সম্প্রদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের যে মানুষের দুঃখ-কষ্ট বলার বাক স্বাধীনতা সেটি এখন আর সেভাবে নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব দুঃখ ও বিস্ময়ের সঙ্গে বলবো, গতকাল (শুক্রবার) আমি নাম বলছি না, একজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা হলো অনেক সময় ধরে। উনি যে কথাগুলি বললেন, সেটির সারমর্ম হচ্ছে শুধুমাত্র প্রশংসার কথা বলা যাবে, অন্য কোনও কথা বলা যাবে না। আপনি এমপি, আপনি আপনার এলাকার অন্য কোনও কথা বলতে পারবেন না। আপনার সমস্যা আপনি ঘরে নিয়ে এসে সমাধান করবেন, কিন্তু জনগণকে এজন্য কোনোভাবে উত্তেজিত করতে পারবেন না। শুধু বলবেন সরকারের সফলতা আর সফলতার কথা।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সমালোচনা না করি, নিজের ভুল যদি আমরা অন্যের কাছে শুনতে না পারি, তাহলে আমি জানবো না আমার ভুল কোথায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারাকাত বলেন, ‘ভিন্নমত ছাড়া গণতন্ত্র হয় না।’ তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমানের বই দুটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সমাজের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।’