বিএসএমএমইউ’র পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি পেলো ইপনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি- সংগৃহীত)

‘ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)’ প্রকল্পকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রথম এবং পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) ইউজিসি এই অনুমোদন দেয়। বিএসএসএমইউ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার জানান, এর আগে ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর বিএসএসএমইউ’র একাডেমিক কাউন্সিল এবং ১৪ নভেম্বর বিএসএসএমইউ’র ৬৮তম সিন্ডিকেট সভায় ইনস্টিটিউট হিসেবে ইপনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইপনার ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতারের নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে সেন্টার ফর নিউরো ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অটিজম ইন চিলড্রেন (সিন্যাক) নামে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম ইন বিএসএমএমইউ’ প্রকল্প গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও ইউজিসির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো।

এ ব্যাপারে বিএসএসএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মাধ্যমে ইপনার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। এখন থেকে অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যার সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। জাতীয় পর্যায়ে ইপনাই প্রথম ইনস্টিটিউট, যেখানে স্নায়ু বিকাশজনিত ও অটিজম সমস্যার সমন্বিত সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

ইপনার আওতায় ৩০ বেডের শিশু নিউরোলোজি হাসপাতাল, দৈনিক গড়ে ১শ’ রোগীর সেবাদান উপযোগী আউটডোর এবং ৫০ আসনের অটিজম স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শিশু নিউরোলোজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট থেরাপিস্ট, সাইকোলোজিস্ট, কাউন্সিলর, নিউট্রিশনিস্টসহ মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছেন। এ ছাড়া, দেশব্যাপী ডাক্তার, অভিভাবক, শিক্ষক ও অন্যান্য পেশার লোকদের জন্য স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা ও অটিজম সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ইপনা নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে আসছে।

ইপনা অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত বিষয়ে নিয়মিত একাডেমিক ও ক্লিনিক্যাল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। গত অর্থবছর থেকে দেশব্যাপী অটিজমের বিস্তার নিয়ে ইপনা একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিগগিরই জরিপের ফলাফল ‘ডিজ এমিনেশন’ করা হবে।

উল্লেখ্য, ইপনা জাতীয় পর্যায়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং ভালো সেবাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে।