কর ফাঁকির মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডির জামিন

ইউনাইটেড হসপিটালপ্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খানকে জামিন দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পান তিনি।
আদালতের জিআর শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে, ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত জানুয়ারিতে দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার রহিমা বেগমকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৬ সালে রাজধানীর গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়ির বেইজমেন্টসহ একটি আটতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করা ‘কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল’ পরের বছর মালিকানা ও নাম বদলে ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড’ হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশনের তালিকায় এখনও আগের নামই বহাল রয়েছে।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ২০০৬ সাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের ত্রৈমাসিক হোল্ডিং ট্যাক্স ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট নোটিস দেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ না করে সিটি করপোরেশনের অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ডে (এআরবি) আবেদন করে। তখন চার সদস্যের ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার এম এ কাইয়ুম। আর সদস্য ছিলেন কমিশনার রহিমা বেগম, প্রকৌশলী কাজী জহিরুল আজম  ও অ্যাভোকেট মালেক মোল্লা।

এআরবি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্য দু’জন সদস্যের অনুপস্থিতিতে রহিমা বেগম এককভাবে ২০০৯ সালে ইউনাইটেড হাসপাতালের ত্রৈমাসিক কর কমিয়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ টানায় পুর্নির্ধারণ করেন। এতে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ত্রৈমাসিক কর ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪০ টাকা কমে যায়। এরপরও ইউনাইটেড হাসপাতাল কোনও কর পরিশোধ করেনি। করের পরিমাণ না কমালে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের পাওনা দাঁড়ায় ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) এই মামলায় হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান জামিনের আবেদন জানালে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।