টানা এক মাস দশদিন ধরে আন্দোলনে থাকার পর কাজে ফিরে গেছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এর কর্মীরা। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও ১৩ হাজার কর্মী এখনও বেতন হাতে পায়নি বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, ‘আন্দোলনের সময়সহ পুরো সময়ের বেতন সিএইচসিপি কর্মীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ একটা চিঠি পেয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে আমাদের বেতন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটার জন্য আমরা সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক ও আমাদের লাইন ডিরেক্টর স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের বেতন হয়ত প্রকল্প অফিস ছেড়েছে সিএস অফিস পায়নি। আমরা আশা করছি শিগগিরই বেতন পেয়ে যাব।’
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওরা গত মাসে ধর্মঘটে ছিল। আমরা ধর্মঘটের পিরিয়ডটাতে বেতন না দিয়ে তার আগে পরে যদি বেতন বাকি থাকে তার টাকা আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি। অনেকে মনে করেছে হয়ত বেতন দেবে কি দেবে না? অনেকে মনে করেছে যে একসঙ্গে পুরো টাকা নেব। এক মাস দশদিন তারা ধর্মঘটে ছিল। ওই টাকা যদি দিয়ে দিই তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে। আমরা সেইজন্য সরকারের অনুমতি বা সিদ্ধান্ত চাচ্ছিলাম যে আমরা কি করব। তারপরও তারা কিছু পেয়েছে। এখন যদি ওদের বেতন না দেই তাহলে হতাশা চলে আসতে পারে। একটা প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সেজন্য আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত চেয়েছি। সরকার বলেছে, তারা তো অনেক কাজ করেছে অনেক বছর ধরেই তাদের ধর্মঘট ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে তাদের বেতন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ যে আদেশ দিয়েছি এই আদেশে কোন বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাই নেই।’
এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিএসপিসির কর্মীরা আন্দোলন শুরু করে। শেষ হয় ২৮ মার্চ। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্ট, সাধারণ ছুটি, অর্জিত ছুটির সুযোগ ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের ট্রাস্টের আওতায় এনে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার। যা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে পূরণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যায়।