ফারমার্স ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজন কারাগারে

ফারমার্স ব্যাংকফারমার্স ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) চারদিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালত এই আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
আসামি পক্ষে  আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।

গত ১০ এপ্রিল ওই তিন আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিনে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে একই দিনে (১০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন হোটেল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান থানায় মানিল্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রোজি চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খুলে বেশিরভাগ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।