আমিন জুয়েলার্সের স্বর্ণ-টাকা চুরির অভিযোগে চার জন রিমান্ডে

আদালতআমিন জুয়েলার্সের শো-রুমের ছাদ কেটে স্বর্ণ ও টাকা চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো, আমিন জুয়েলার্সের নিরাপত্তাকর্মী মো. আব্দুস সোবহান মোল্লা, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, বেল্লাল ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে দুই আসামি আব্দুস সোবহান ও বেল্লালের তিনদিন এবং আলেয়া বেগম ও মোস্তাফিজুর রহমানের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে  আসামিদের আদালতে হাজির করেন।

গত ১৪ তারিখ রাতে গুলশান-২ এর ডিসিসি মার্কেটে আমিন জুয়েলার্সের শো-রুমের ছাদ কেটে প্রায় ৬৭৯ ভরি স্বর্ণ ও ২২ টাকা লাখ চুরি হয়। শো-রুমের নিরাপত্তা কর্মী ও মার্কেটের রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম পরিকল্পিতভাবে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে। চুরির পর তারা ছাদের কাটা অংশে ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে তার ওপর একটি ড্রাম রেখে ঢেকে পালিয়ে যায়। ছাদের নতুন ঢালাই দেখে সন্দেহ হলে নিরাপত্তা কর্মী সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য গরমিল করলে তাকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে সোবহানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেঁড়া দেখে এর কারণ জানতে চায় পুলিশ। এর কোনও সন্তোষজনক উত্তর না দেওয়ায় তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে।

পরে সোবহানের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৯৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত সাদ্দাম এখনও পলাতক।

ওই ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল আমিন জুয়েলার্সের ম্যানেজার শাখাওয়াত বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।