এবার বাসচাপায় পা হারাতে বসেছে এক কিশোরী

পঙ্গু হাসপাতালে রোজিনা আক্তার

এবার রাজধানীর বনানীতে বাসচাপায় পা হারাতে বসেছে এক কিশোরী। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। কিশোরী রোজিনা আক্তারকে (১৭) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনায় ওই বাসের চালক শফিকুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
রোজিনার বাড়ি ময়মনসিংহের ঘোষগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম রসুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম। সে নিকেতনের ১২ নম্বর সড়কে সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে।

পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াৎ জানান, রোজিনার ডান পায়ের অবস্থা গুরুতর, প্রায় বিচ্ছিন্ন। তার পা কেটে ফেলতে হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার অপারেশন করা হবে। তখন চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

রোজিনা মৃদুকণ্ঠে জানান, সে তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে মহাখালীর আমতলীতে গিয়েছিল। ফেরার সময় চেয়ারম্যানবাড়ির কাছে দাঁড়িয়েছিল। একটি বাস দাঁড়ালে সেটিতে ওঠার জন্য এগিয়ে গেলে সেটি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ ঘটনায় বিআরটিসির বাসটি জব্দ এবং চালক শফিকুল ইসলামকে (৩২) আটক করা হয়েছে। ওই নারীর একটি পা গুরুতর জখম হয়েছে।’
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে সার্ক ফোয়ারার সামনে দুই বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের (২২) হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।