প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নিজের সন্তানকে খুন করে জাহিদ

পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নিজের শিশু সন্তান আউসারকে (১২) জাহিদ খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে গুলশান ডিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘জাহিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশেই আউসারকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাত হত্যা করে স্থানীয় বাসিন্দা মজিদ।’

আউসারের উদ্ধার করা লাশ

সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, গত ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টায় টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর আউসার। পরদিন সন্ধ্যায় বাড্ডার পূর্ব পদরদীয়ার একটি ধানক্ষেত থেকে আউসারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আউসারের বাবা জাহিদ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য বিবেচনায় গত ২০ এপ্রিল হত্যাকারী মজিদকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মজিদ জানায়, আওসারকে হত্যার পুরো পরিকল্পনাটি ছিল তার বাবা জাহিদের। জাহিদের নির্দেশেই আউসারকে খুন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে মজিদ। পরে ২১ এপ্রিল আউসারের বাবা জাহিদকেও গ্রেফতার করা হয়।’

মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘বাড্ডার সাতারকুলের পদরদীয়া এলাকার বাসিন্দা জাহিদ। তার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনের পারিবারিক শত্রুতা ছিল। আবার অটোরিকশার জমা বাবদ ৮০০ টাকা নিয়ে আব্দুল জলিলের সঙ্গেও জাহিদের শত্রুতা ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী হেলাল ও জলিলকে ফাঁসাতেই নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাহিদ।’

আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মোস্তাক আজমেদ জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন একটি ছুরিও কেনেন জাহিদ। এরপর ওই রাতে আউসারকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ এবং ছুরিকাঘাত করে খুন করেন মজিদ।