গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠেয় ২০১৭ সালের ‘গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সের’ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শুরু হতে যাওয়া দেশব্যাপী এ পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল নুসরাত জাহান ও  আবুল কালাম খান।

পরে রিটকারী বগুড়ার এসবি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ সালের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়ার কথা। এসবি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের ২৫০ শিক্ষার্থীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র ২২ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। তাই এই পরীক্ষা স্থগিত এবং রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র দিতে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ দেন।’

২০০০ সালে বগুড়ার এসবি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ যাত্রা শুরুর পর থেকে ১৫টি ব্যাচ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কলেজের অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে হঠাৎ করে কলেজটির অনলাইন কোড বন্ধ করে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে এই সেশনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। 

হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুলসহ একটি আদেশ দেন। এ আদেশে এই পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের সেই আবেদনের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর আদালতের এই নির্দেশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৫০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় আদালত পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত করেন।