ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

 



প্ল্যাকার্ড হাতে এক অভিবাসীব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার আহবান জানালেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে লন্ডনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও তিনি একই আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ব্রিটেনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছেন।

উইন্ডরাশ জেনারেশনের প্রতি সরকারের ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণার পর অন্যান্য অভিবাসীদেরও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘শুধু উইন্ডরাশ জেনারেশন নয়, প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসরত অন্যান্য অভিবাসী, যাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নেই, তাদের উইন্ডরাশ জেনারেশনের মতো সাধারণ ক্ষমা বা সরকারের অ্যামনেস্টির আওতায় আনা উচিত।’

গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৭৩ সালের আগে যুক্তরাজ্যে আসা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের কোনও ডকুমেন্ট ছাড়াই শুধুমাত্র নুন্যতম ফি’র বিনিময়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসন অন্য অভিবাসীদের পক্ষে কথা বলছেন।
অন্যদিকে ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (শ্যাডো হোম সেক্রেটারি) ডায়ান অ্যাবোটও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে আরও হাজার হাজার অভিবাসী রয়েছে যারা উইন্ডরাশ জেনারেশনের মতো একই সমস্যা মোকাবেলা করছে।’ তাদের কথাও স্মরণ রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লেবার পার্টির এই এমপি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কমনওয়েলথভুক্ত ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে আসা উইন্ডরাশ জেনারেশনের ল্যান্ডিং কার্ড ধ্বংসের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছিল সরকার। এ জন্যে উইন্ডরাশ জেনারেশনের কাছে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে।
উইন্ডরাশ জেনারেশন বিষয়ে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৩ সাল সময়ে যুক্তরাজ্যে কর্মজীবন কাটিয়ে যারা নিজ দেশে ফেরত গেছেন তারাও চাইলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। এ জন্য ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা বা আবেদন ফি কিছুই লাগবে না।
এছাড়া ১৯৭৩-৮৮ সালের অভিবাসীদের বিশেষ ভিসার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।