আইএসপিআর জানায়, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো ও উদ্ধার কার্যক্রমে দেশি, বিদেশি—সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়ায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসিসহ স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে।
মহড়ায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া ও জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সচিবসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের গত ২৫ আগস্ট থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ের ওপরে, ঢালে ও সমতলে অস্থায়ীভাবে তৈরি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস বা পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।