বিএসএমএমইউ’তে হাতের পক্ষাঘাত রোগের চিকিৎসায় লাইভ সার্জারির উদ্বোধন





বিএসএমএমইউসড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার কারণে হাতের প্যারালাইজড (পক্ষাঘাত) রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ধরনের আঘাতে হাতের শিরার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে শনিবার (১৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘ব্রাকিয়াল প্লাক্সাস ইনজুরি’ বিষয়ক কর্মশালা ও লাইভ সার্জারির উদ্বোধন করা হয়েছে।


বিএসএমএমইউ’র ‘ডি’ ব্লকের সাততলায় অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের ক্লাসরুমে দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ ও বাংলাদেশ হ্যান্ড সোসাইটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিএসএমএমএমইউ’র সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এ ধরনের কর্মশালা ও লাইভ সার্জারি সংশ্লিষ্ট সার্জন ও শিক্ষার্থীদের জন্য হাতের আঘাতজনিত প্যারালাইজড (পক্ষাঘাত) রোগের সফল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন ও জ্ঞান লাভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাকিয়াল প্লাক্সাস ইনজুরি বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও লাইভ সার্জারি পক্ষাঘাত রোগীদের জন্য উপকার ও কল্যাণ বয়ে আনছে এবং তাদের পক্ষাঘাতগ্রস্ত হাত সচল করার মাধ্যমে কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব হচ্ছে।’
বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এ বিষয়ে চিকিৎসার জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা এ কর্মশালার অন্যতম লক্ষ্য। বিএসএমএমইউ’র হ্যান্ড অ্যান্ড রিকনসট্রাকটিভ সার্জারি উইংয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর এ ধরনের প্রায় ৪০ জন রোগীর জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমেদ।