অভিযোগ সম্পর্কে দুদক সূত্রে জানা গেছে, এস. এম. ইকবাল খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় একটি দুর্নীতির মামলায় এক বছরের বেশি সময় আদালতে চার্জশিট দাখিল না করে নিজের কাছে রেখে দেন।
দুদকের বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার (২০ মে) তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর ফলে তিনি চাকরি থেকে অবসরের কোনও সুবিধা পাবেন না।
অন্যদিকে, দিনাজপুরে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায় একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদন্ত কার্যক্রমে এক বছরের বেশি (৩৮৪ দিন) সময় পার করে দেন। দুদক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রমাণ পায়, বীর কান্ত রায় কোনও না কোনোভাবে আসামির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব করেছেন। এ অপরাধে তাকে সোমবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুদকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’