আঞ্চলিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রাখার পরামর্শ

সংবাদ সম্মেলনআঞ্চলিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনকে বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে নেটজ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএএস)। সোমবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠন দুটির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।

সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরেন ড. দ্বিজেন মল্লিক ও মিজানুর রহমান। এতে বলা হয়, সমীক্ষাকালে দেখা গেছে, দরিদ্রদের জন্য অনেক কার্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ, বিশেষ করে বন্যা ও নদী ভাঙন, খরা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদির জন্য কাঙ্ক্ষিত   ফল পাওয়া যায় না।

দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি উপজেলায় সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, সেখানকার প্রধান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ, বিশেষ করে বন্যা ও নদী ভাঙন, খরা, বৃষ্টিপাতের তারতম্য, শৈত্যপ্রবাহ, বজ্রপাত ও ঘন কুয়াশার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এই সব দুর্যোগের কারণে সেখানকার কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকার বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে গবাদি পশু আর মৎস্য খাত অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পানি, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এইসব দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির কারণে এখানকার অনেক দরিদ্র মানুষ তিন বেলা ঠিকমতো খেতে পারে না।

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে অনেক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষজনের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে রয়েছে অনেক সীমাবদ্ধতা।

রিপোর্টে উল্লেখিত পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় ঝুঁকি ও বিপদাপন্নতাকে বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক দরিদ্রদেরও অভিযোজন চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের বরাদ্দ অঞ্চলভিত্তিক জাতীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনার জন্য বাড়াতে হবে, চর এলাকার মানুষজন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি আরও বেশি নজর দিতে হবে।

বিসিএএস’র নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নেটজ বাংলাদেশের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম সহ অন্যরা।