‘চাঁদা দেওয়া বন্ধ না হলে এমন বেপরোয়া পরিস্থিতিও চলতেই থাকবে’

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীবাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘অনেককেই নানান রকম চাঁদা দিতে হয়। ড্রাইভার ও হেল্পারদেরকে বেতন দিতে হয়। অর্থ্যাৎ একটি বাস চালিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা উপার্জন করতে গিয়ে নানা চাপ তাদের ওপর থাকে। সারাদিন কাজ করে বেশিরভাগ স্থানে চাঁদা দেওয়ার পর পকেটে যখন মাত্র তিন থেকে চারশ টাকা ঢোকে; তখন সে এসব অনিয়ম করতে বাধ্য হয়। এই নানান জায়গায় চাঁদা দেওয়া বন্ধ না হলে এমন বেপরোয়া পরিস্থিতিও চলতেই থাকবে।’  

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বাস, গণপরিবহন এবং...’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে চলছে বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি। রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করছে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা যাচ্ছে বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যারা বাসে কাজ করে তারা অপুষ্টিতে ভোগে, ঠিকমত খাবার পায়না; আমরাও দিতে পারি না। তাদের বয়সও বেশি না। দিন শেষ তারা তিন থেকে চারশ টাকা পায়। এতে তাদের চলে না। ফলে তারা বেপরোওয়া হয়ে ওঠে, এই প্রতিযোগিতাসহ নানাভাবে অপকর্মও করে। সেটা খেয়াল রাখতেও কেউ পারে না। ’ এছাড়া গতি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে ফ্লাইওভাবের ওপর কোনও সাইনবোর্ড নেই বলে তার অভিযোগ।

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ (খোকন), গাজী টিভি ও সারাবাংলা’র এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ।

আরও পড়ুন: ‘শুধু লেগুনা থেকে প্রতিদিন ২৫ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে’