রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল আনসার আল ইসলামের জঙ্গিদের

রাজধানীতে গ্রেফতার হওয়া আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা

ঢাকা শহরকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করে সেল ভিত্তিকভাবে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন গ্রেফতারকৃত আসামিরা। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলের কর্মী সংগ্রহসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনাও ছিলো তাদের। আর এই গ্রুপের মাস্টারমাইন্ড ছিল মহিবুর ও এরশাদুল।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকাল ৫ টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।

জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বোনা বানানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম

এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। গ্রেফতাকৃতরা হলেন, মো. কামাল (৩৭), সিফাত (৩০), দিদারুল ইসলাম (২৬), রিফাতুল্লাহ সাব্বির খান (১৯), শীতল মিয়া (২৭), মহিবুর ওরফে রাকিব ওরফে আবু উমাম ওরফে বাবু (২৪) ও এরশাদুল হক টিটু (২৪)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুর পরিমাণে বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও উগ্রবাদী বই উদ্ধার করে র‌্যাব। ‌র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) ল্যাফট্যানেন্ট কর্ণেল এমরানুল হাসান বলেন, গ্রেফতারকৃত মহিবুর রমহান ও এরশাদুল হক বারিধারার ব্লুমফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এদের মধ্যে মহিবুর রহমান আনসার আল ইসলামের অন্যতম সমন্বয়ক এবং পরিকল্পনাকারী। সে গোপনে দাওয়া-হালাকার কার্যক্রম পরিচালনা করে। সে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে উগ্রবাদী প্রচার প্রচারণা চালাতো। আর এরশাদুল হক সংগঠনের একজন রিক্রুট ও মোটিভেটর হিসেবে কাজ করতো। সে বিভিন্ন সময় বক্তব্য অডিও, ভিডিও এবং জিহাদি পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে সংগঠনের কর্মীদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতো।

জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বোনা বানানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামি এরশাদ তার সহকর্মী মুহিবের সহযোগিতায় জসিম উদ্দিন রহমানীর বিভিন্ন বক্তৃতা, আফগানিস্তানে হাফেজ হত্যা প্রভৃতি ভিডিও ইন্টারনেটে শেয়ার করে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত কামাল উদ্দিন ও সিফাত এই সংগঠনের অতি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং তারা দু'জনই ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য বোমা তৈরিতে পারদর্শী। এদিকে, দিদার সাব্বির এই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আনসার আল ইসলামের আঞ্চলিক সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতো। এছাড়া কামাল উদ্দিন ও দিদারুল ইসলাম সাব্বির খান ও শীতর মিয়া প্রায় সময় গোপন সভায় অংশগ্রহণ করতো। র‌্যাব-৩ এর সিও বলেন, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে।