বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মহানগর হাকিম আদালতে রাসেলকে হাজির করেন। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান, শেখ রাসেল নয়ন নিরাপত্তাকর্মী নূরনবীর পূর্বপরিচিত ছিল। গতবছরের জুলাই মাসে বাগেরহাট পিসি কলেজের পাশের নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে গেলে সামান্য বিষয় নিয়ে সে সময় নূরনবী ও তার লোকজন নয়নকে মারধর করে। পরে ঢাকায় এসে নয়ন একটি কোম্পানিতে প্রথমে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে এবং পরে আরেকটি কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে কাজ নেয়।
ওইদিনের ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, গত ২০ মে রাতে তৌহিদুল ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করছিল। রাতে ইবিএলের ওই বুথে গিয়ে তৌহিদুলকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়। গতবছরের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর হাতাহাতি। হাতাহাতির একপর্যায়ে রাত আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে রাসেল ছুরি দিয়ে তৌহিদুলকে জখম করে। তৌহিদুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পাশের ড্রেনে ফেলে দিয়ে খুলনা পালিয়ে যায় সে।
ওই ঘটনায় ২২ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
গত ২১ মে সকালে ক্যান্টনমেন্টের পোস্ট অফিসের পাশের ইবিএল বুথে শেখ তৌহিদুল ইসলাম নূরনবীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় রাতেই নিহত নূরনবীর বাবা শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।