ঘটনাস্থল থেকে সুমন জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সুমন জাহিদের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’
ময়নাতদন্তের জন্য সুমন জাহিদের লাশ নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে আসেন রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। রেললাইন ঘেঁষেই সুমন জাহিদের লাশটি পড়ে ছিল। আমরা ধারণা করছি, ট্রেনের চাকা তার গলার ওপর দিয়ে গেছে। তবে কোন ট্রেন তা আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
মৃতের শ্যালক সারোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সুমন জাহিদ ফারমার্স ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। আজ সকালে তিনি কখন বাসা থেকে বেরিয়েছেন তা জানি না।’
সুমন জাহিদ থাকতেন ঢাকার উত্তর শাজাহানপুরে। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন তিনি।
সুমন জাহিদের স্ত্রীর নাম টুইসি। তাদের সংসারে আছে দুই ছেলে। তাদের মধ্যে স্মরণ টিঅ্যান্ডটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরেক ছেলে সুমন্দ্র আইডিয়াল স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।