জানা গেছে, দুষ্প্রাপ্য নাগলিঙ্গম গাছটি ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। নাগলিঙ্গম গাছের ইংরেজি নাম ‘ক্যাননবল ট্রি’। ঢাকায় বলধা উদ্যান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমিদারবাড়ি, মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগলিঙ্গম গাছ আছে। গাছটির মোটা কাণ্ড ধূসর ও লম্বা আকৃতির পাতা সবুজ রঙের হয়। নাগলিঙ্গমের ফল হয় বেলের মতো গোল এবং বড়। আর এ ফল হাতির প্রিয় খাবার।
নাগলিঙ্গমের ফল থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করতে হয় বলে জানান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বীজ থেকে থেকে গাছ হতে ১ মাসের মতো সময় লাগে। আর, ৫ বছর সময় লাগে এ গাছের স্টান্ডার্ড সাইজ হতে। নাগলিঙ্গমের ফুল দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ১০ বছর।’
আ ফ ম জামাল উদ্দিন জানান, এ গাছের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ গাছ আরও বিস্তার ঘটাতে কাজ করছি। প্রতি বছর নতুন চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। গত বছর ২০০ বেশি চারা উৎপাদন করা হয়েছে। গ্রিন বাংলাদেশ সোসাইটির মাধ্যমে এসব চারা সারাদেশে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন