বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: সাবেক কর্মকর্তা ফয়সালের জামিন প্রশ্নে রুল

বেসিক ব্যাংকবেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির উত্তরা শাখার তৎকালীন বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ইনচার্জ আসাদ মোহাম্মদ ফয়সাল শহীদকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসামি ৮৩টি ভুয়া লোকাল এলসি (স্থানীয় ঋণপত্র) তৈরি করে এর বিপরীতে ভুয়া রফতানি ডকুমেন্ট তৈরি করেন। এরপর ওই ভুয়া ডকুমেন্টের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ঋণ তৈরি করে ৬৬টি এলসি বাবদ চার কোটি ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে অবশিষ্ট ১৭টি এলসি বাবদ এক কোটি ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।’

ফয়সাল শহীদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ার পর বেসিক ব্যাংকের উত্তরা শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান মো. মফিজুর রহমান তালুকদার গত ১২ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২১ মে জামিন আবেদন করা হয়। এ আদালত জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট আসামিকে সরাসরি জামিন না দিয়ে এ বিষয়ে রুল জারি করেন।