বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আপিল নিষ্পত্তিতে সময় চেয়ে খালেদা জিয়ার রিভিউ আবেদনে আদেশের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল আজ বৃহস্পতিবার। আপিল আদালত তার আদেশে বলেন, ‘রিভিউ আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করা হলো। তবে সময় দরকার হলে পরে আসতে পারবেন।’
এসময় অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, ‘আবেদনটি খারিজ করলে পরে কীভাবে আপিলে আসবো? মামলাটি খারিজ না করে ওপেন রাখুন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘গতকাল পেপারবুক নিয়েও তারা আপত্তি তুলেছেন। এই মামলার এমন কোনও অবস্থা নেই যে তারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) বিশৃঙ্খলা করেননি।’
এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতিরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে পুনরায় আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে বলেন, ‘আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত রিভিউ আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার রাখা হলো। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি না হলে পরে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এর আগে গত ৯ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু রায় ঘোষণা না করে আদালত মামলাটি মুলতবি রাখেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন- দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে লর্ড কার্লাইলকে