সুহেলকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করলো পুলিশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা সুহেল

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেলকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার ১৪ ঘণ্টা পর পুলিশ তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছে। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও জানানো হয়নি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুহেলকে আগামীকাল শুক্রবার (১৩ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে। সন্ধ্যায় সুহেলের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঢাকার শান্তিনগরের চামেলীবাগে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লাকী আক্তারের বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি সুহেলকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় সাদা পোশাকের ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পরিচয় দিলেও দিনভর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা সুহেলকে আটক বা গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেন। দুপুরে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা সুহেল নামে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করিনি।

সুহেলসহ এখন পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ১১ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করলো পুলিশ। এর মধ্যে চারজনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে দুই দফায় ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রাশেদকে ইতোমধ্যে এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা ও ভিসির বাসায় ভাঙচুর মামলাসহ তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা ফারুক হাসানসহ জসিম উদ্দিন ও মশিউর রহমানকে গত মঙ্গলবার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  আর তরিকুল আমান উল্লাহ, মাযহারুল, জাকারিয়া, রমজান ওরফে সুমন ও রবিন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আগের সংবাদ: কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেলকে ধরে নেওয়ার অভিযোগ