আবাসিক হোটেলে কিশোরীর লাশ, দুলাভাই উধাও





লাশ উদ্ধাররাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে রমনা থানা পুলিশ। তার নাম বৃষ্টি (১৬)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ‘হোটেল বৈকালি’ থেকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, সুমন ও বৃষ্টি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল বৈকালির চারতলার ৪০৭ নম্বর কক্ষে উঠেছিল সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে। সুমন বিকেলে বৃষ্টিকে কোলে করে নিয়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করে। এসময় হোটেল কর্তৃপক্ষকে সে জানায়, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ রমনা থানা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার পর সুমন পলাতক রয়েছে।
নিহত বৃষ্টির পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই দীপংকর চন্দ্র দাস জানান, সুমন বৃষ্টির মেজ বোন হাসনার স্বামী। বৃষ্টি মহাখালী সাততলা বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতো। সে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালঞ্জ। সোমবার সকালে গার্মেন্টসে যাওয়ার কথা বলে বৃষ্টি বাসা থেকে বের হয়।
সুমনের গ্রামের বাড়ি ভোলায়। তবে নদীতে বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় তারা উজিরপুরে নানা বাড়িতে থাকে। সে পেশায় প্রাইভেটকার চালক। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আছে।
তবে বৃষ্টির সঙ্গে সুমনের সম্পর্ক ছিল, যা তাদের পরিবার জানতো। এ নিয়ে কোনও জটিলতা থেকে হত্যা অথবা আত্মহত্যা হতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।
সুমনকে খুঁজছে পুলিশ। সে ঘটনার পর স্ত্রী হাসনাকে নিজেই বৃষ্টির মৃত্যুর বিষয়টি জানায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত বৃষ্টির বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন এসআই দীপংকর চন্দ্র দাস।