বিএমডিসিতে দুদক

 



দুদক কর্মকর্তাদের সামনেই অফিস স্টাফদের সতর্ক করছেন বিএমডিসির রেজিস্ট্রাররাজধানীর পুরানো পল্টনে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিকিৎসকদের সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় বেআইনিভাবে টাকা পরিশোধ করতে হয়- দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় সংস্থাটি।

দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিএমডিসি কার্যালয়ে যান। তারা বিএমডিসির রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা সার্টিফিকেট উত্তোলনসহ যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম দুর্নীতিমুক্ত রাখার পরামর্শ দেন এবং বিএমডিসির স্টাফদের বখশিস না নিতে সতর্ক করে দেন।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্যের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এ সময় দুদক টিমের উপস্থিতিতে বিএমডিস’র রেজিস্ট্রার ওই দফতরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্তভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত চিকিৎসকসহ সকলের কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইনের (১০৬) স্টিকার বিতরণ করা হয়।

এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‌‌‌`দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চিকিৎসকদের অভিযোগকে আমলে নিয়ে দুদক বিএমডিসিতে এ টিম পাঠিয়েছে। আশা করি এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে ঘুষ নেয়া হলে সেক্ষেত্রে দুদকের টিম তাৎক্ষণিক গ্রেফতার অভিযান চালাবে।'

এ প্রসঙ্গে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রার ডা. মো. জাহিদুল হক বাসুনিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইলে বলেন, `ওনাদের কারা নাকি অভিযোগ করেছে যে, বখশিস ও এটা-ওটা নেয়। ওদের সামনেই সবাইকে ডেকে বলে দিলাম যে, দেখেন পিয়নরা কেউ বোধহয় বখশিস নেয় আর এটা হয়তো কেউ রিপোর্ট করেছে। এমনি রুটিন চেকে ওরা এসেছিল। ওরা এসে আমাদের কাছে বলেছে, তবে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করে নাই। তবু আমি স্টাফদের উদ্দেশে বললাম, দেখেন চিকিৎসকদের যেন কোনোরকম অসুবিধা না হয়। অনেক সময় পিয়নদের চিকিৎসকরা ১০-২০ টাকা দেয় এই আর কি।'