এলজিইডি’র অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী না করলে কঠোর কর্মসূচি

01স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্থায়ী পদে আত্তীকরণ না করা হলে রবিবার (২৯ জুলাই) থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন। বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৫ জুলাই হাই‌কো‌র্টের রায় অনুযায়ী তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ২৯ থেক ৩১ জুলাই পর্যন্ত আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়াও আগামী ২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলজিইডিসহ অন্যান্য সব দফতরে গণসংযোগ এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানীতে কর্মচারী সমাবেশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী বলেন, ‘এলজিইডি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মাস্টাররোলে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই ২০ থেকে ২৫ বছর অস্থায়ীভাবে চাকরি করে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব প্রকল্প ও মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত পায়নি। পরে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন তারা। হাইকোর্টে সব জনবলের চাকরি রাজস্বভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দিলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ হাজার কর্মচারীর মধ্যে আড়াই হাজার কর্মচারীকে রাজস্বভুক্ত করেন। অবশিষ্ট ৩ হাজার ৮২৩ জন কর্মচারীর চাকরি এখনও রাজস্বভুক্ত করা হয়নি। এর কোনও ব্যাখ্যাও তারা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের অবশিষ্ট ৩ হাজার ৮২৩ জন কর্মচারী রাজস্বভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের চাকরি চলমান রাখতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে কিছু কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অডিটরসহ ১১ জন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিটি সেক্টরে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যখাতে, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষাখাত, যোগাযোগ খাতসহ সব পর্যায়ে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কিছু কিছু সরকারি দফতরে কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। হয়রানি করে কর্মচারীদের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা এসব হয়রানি থেকে পরিত্রাণের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব্য পাঠ ক‌রেন সংগঠনের মহাসচিব মো. হেদায়েত হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান, কার্যকরি সভাপতি আবদুল হাই মোল্লা, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে।