হজ এজেন্সিগুলোকে আরও চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ

সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান হজ এজেন্সিগুলোকে তিন শর্তে আরও ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়। শনিবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান এ ঘোষণা দেন। এর আগেও চলতি মৌসুমে ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ দিয়েছিলো মন্ত্রণালয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন,২১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩৭ হাজার ২ শ’ ২২ জন হজযাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। হজ এজেন্সিগুলোর বিমানের টিকেট ক্রয় ও অন্যান্য বিষয়ে অগ্রগতি জানার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ১৪৪টি এজেন্সির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। মতবিনিময়ে জানা যায়, এজেন্সিগুলোর অনেকে সকল হজযাত্রীদের অনুকূলে টিকেট সংগ্রহ করেনি, আংশিক সংগ্রহ করেছে। এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের আরও সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিস্থাপনের সুযোগ পেলে যথাযময়ে টিকেট সংগ্রহ করা হবে বলে তারা জানান। সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে,নির্ধারিত ৪ শতাংশের বেশি প্রতিস্থাপন করা না হলে হজযাত্রীর কোটা অপূর্ণ থেকে যাবে। বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা যাতে অপূর্ণ না থাকে,কোটার সমসংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রীকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সরকার শর্তসাপেক্ষে আরও ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

শর্ত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,এজেন্সিগুলোকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের জন্য নিজস্ব প্যাডে পরিচালক,হজ অফিস,আশকোনা,ঢাকা বরাবর ২৪ জুলাই বিকাল ৫টার মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনটি অনলাইনেও নিশ্চিত করতে হবে।কোনও হজযাত্রী গুরুতর অসুস্থ অথবা মারা গেলে তাদের বিপরীতেই শুধু প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবে হজ এজেন্সিগুলো। এক্ষেত্রে সেই হজযাত্রীর অসুস্থতা বা মৃত্যুজনিত সনদ দাখিল করতে হবে।প্রতিস্থাপন পাওয়ার জন্য এজেন্সির পক্ষ থেকে কোনও মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হচ্ছে না মর্মে তিনশ’ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।হজ পরবর্তী সময়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে কোনও প্রতিস্থাপন গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হবে। প্রদত্ত তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য,জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী, মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতাজনিত কারণে প্রতিটি এজেন্সি তার নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্য থেকে ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারে। হজনীতির এ বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে চার শতাংশ হিসেবে মোট ৪ হাজার ৬ শত ১৪ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপিত হয়েছেন।