বন্দর থানার ওসি এ কে এম শাহীন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পারি ছেলেটি কুমিল্লায় বাস থেকে নেমেছিল। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের কুমিল্লায় সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’ পায়েলের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব জানান, ‘রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় থাকতেন পায়েল। চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় তার বাড়ি। শনিবার রাতে তিনি ছুটি কাটিয়ে অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে কুমিল্লায় একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বন্দর এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখানে বাসের চালক ও সহযোগী তাকে বাসে না তুলেই চলে আসে।’
বিপ্লব জানান, তার সঙ্গে যে দুই বন্ধু ছিলো, তারা ঘুমিয়ে থাকার কারণে পায়েলের নামার বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেনি। পরিবারের সদস্যরা রাতে পায়েলের মোবাইলে ফোন করলে ওই বাসে থাকা তার এক বন্ধু ফোন রিসিভ করে ‘পায়েল সিটে নাই’ বলে জানায়। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে যোগাযোগ করা হলে হানিফ পরিবহনের ওই বাস চালকের সহযোগী জনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুমিল্লার মুরাদগঞ্জের কাছে যানজটে আটকা পড়লে পায়েল প্রসাব করতে বাস থেকে নেমে যান। পরে তাকে ডাকা হলে তিনি যাবেন না এবং বাস চলে যেতে বলেন।’