নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ১১ আগস্ট ভোট অনুষ্ঠানের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৩০ জুলাই) বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে বরিশালে ১৫টি ও সিলেটে দু’টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। স্থগিতের কারণে বরিশালে মেয়র পদের ফল ঘোষণায় প্রভাব না পড়লেও সিলেটে মেয়র পদের ফলাফল আটকে যায়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে— সিলেটে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টির ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৪৬২৬ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের বদরউদ্দীন আহমদ কামরানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
নির্বাচনে আরিফুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৩ ভোট। বদরউদ্দিন কামরান নৌকা প্রতীকে ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়েছেন ।
স্থগিত থাকা গাজী বোরহান উদ্দিন মাদ্রাসা (১১৬ নং কেন্দ্র) ও হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪ নং কেন্দ্র) কেন্দ্রে মোট ভোট আছে ৪৭৮৭টি। এ হিসাবে প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে স্থগিত কেন্দ্র দুটিতে ১৬১টি ভোট বেশি রয়েছে।
ফলে নিয়ম অনুযায়ী ওই দুই কেন্দ্রের ভোটারদের আবার ভোট দিতে হবে এবং তাতেই নির্ধারিত হবে কে হবেন সিলেটের পরবর্তী মেয়র।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (গণসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থগিত দুটি কেন্দ্রের ভোটের তারিখ কমিশন ঘোষণা করেছে। ওই দুটি কেন্দ্রে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে।’
বরিশাল সিটির স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি বলে আসাদুজ্জামান জানান।