‘অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা পেলে শিক্ষার্থীরা কেন পাবে না?’

 

নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনগুরুতর সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা পেলে আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া ২২ শিক্ষার্থী কেন ক্ষমা পাবে না বলে প্রশ্ন রেখেছেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নিপীড়ন বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এক মানববন্ধনে এই প্রশ্ন করেন তারা।

মানববন্ধনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিমিতা স্বর্ণা বলেন, ‘নির্মমভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও দুর্বত্তরা হামলা চালায়। আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য এই হামলা চালানো হয়। আপনারা জানেন, এই আন্দোলনের কারণে ২২ শিক্ষার্থীকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়।এরপর তারা এখন কারাগারে আছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যাররা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন— শিক্ষার্থীদের সাধারণ ক্ষমা করার জন্য। আমার প্রশ্ন হলো, যেখানে চোর, বাটপার ও খুনিদের সাধারণ ক্ষমা করা যায়, ন্যায্য যৌক্তিক দাবির পক্ষে আন্দোলনকারীদের ক্ষমা করা যায় না?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সারারাত মারধর করে পরের দিন থানায় সোপর্দ হয়। তাদের ছাড়িয়ে আনতে আমরা প্রক্টর স্যারকে অনুরোধ করি। স্যার প্রথমে রাজি না হওয়ায় আমরা তাকে বলি, আপনি থানায় ফোন না করা পর্যন্ত আমরা এখন থেকে যাবো না। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে থানায় ফোন করেন এবং সেখান থেকে সেই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা আপনাদের শিক্ষকদের নিয়ে যান, চাপ সৃষ্টি করে আপনাদের সঙ্গীদের মুক্ত করে আনুন। আপনারা ভয় পাবেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে লিখতেও ভয় পান। আপনারা সত্য তুলে ধরুন। গুজবের বিরুদ্ধে সত্য কথা সামনে নিয়ে আসুন।’

শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে আটক ২২ জন শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন। এর পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের জন্য সব দাবি পূরণের দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, স্টেট ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।