‘শ্রেয়াস বিশ্বজুড়ে তার প্রজন্মের সেরা দাবাড়ুদের একজন। তার দল একদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে’ এই বিবেচনায় শ্রেয়াসের পুরো পরিবারকে ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। ব্রিটেনে এ ধরনের ভিসা দেওয়ার নজির খুব একটা নেই। জিতেন্দর সিং একটি আইটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন ব্রিটেনে। এর আগে ভিসার মেয়াদ না বাড়িয়ে তাকে ভারতে ফিরে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ‘তিনি বছরে ১২ হাজার পাউন্ড আয় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, যেটি তার ভিসার শর্তে ছিল।’
জানা গেছে, শ্রেয়াস দাবা’য় একদিন ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এমন প্রত্যাশা তার ক্লাবের। অথচ ভিসা জটিলতায় তার মা-বাবাকে ব্রিটেনে বসবাসেরই অনুমতি দেয়া হচ্ছিল না। আগামী মাসে (সেপ্টেম্বরে) পরিবারটির ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রেয়াসের সমর্থকরা এ সিদ্বান্তের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে নামেন। এরপর ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদের হস্তক্ষেপে দাবায় শ্রেয়াসের নৈপুণ্যের কথা ভেবে 'ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি' বিবেচনায় জিতেন্দর সিংকে নতুন কাজের ভিসা দেওয়া হয়।
সাউথ লন্ডনের বাটারসা চেস ক্লাবের একজন সদস্য শ্রেয়াস। ক্লাবটির সচিব লিয়েন ওয়াটসন বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে এ দলটি। উল্লেখ্য, শ্রেয়াস তিন বছর বয়স থেকে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাস করছে। শুধুমাত্র ছেলের যোগ্যতায় ভিসার মেয়াদ বাড়ানোয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জিতেন্দর সিং।
প্রসঙ্গত, শুধু শ্রেয়াস নয়, সদ্য সমাপ্ত ফুটবল বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ড দলের সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন এশিয়ান ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশরা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৫ বছর বয়সী রবিন জয় দাশ ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে ২০০ রানে অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়েছেন। রবিন সিলেটের সুনামগঞ্জের আদি বাসিন্দা। এসেক্স ক্লাবের বোর্ড ডিরেক্টর জাওয়ার আলী বলেছেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে ব্রিটেনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা আছে বহু ব্রিটিশ বাংলাদেশির। ভাগ্য ও সুযোগের অভাবে সেটি হচ্ছে না।’