সড়ক আইনের খসড়া প্রকাশের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর সম্পূর্ণ খসড়া জনস্বার্থে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রবিবার (১২ আগস্ট) সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নতুন আইনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের সহায়তায় তহবিল গঠন, চালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দিষ্টকরণ, নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের আসন সংরক্ষণ, সিট বেল্ট ব্যবহারসহ বেশ কিছু ইতিবাচক ধারা সংযোজন করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সম্পূর্ণ খসড়াটি ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবি জানায় সংগঠনটি।

প্রস্তাবিত আইনে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে বেপরোয়া ও অবহেলাজনিত মোটরযান চালিয়ে দুর্ঘটনার সাজা মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের যাত্রী সাধারণ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং আমরা যারা যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করি, আমাদের এ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার অধিকার রয়েছে। কারণ আমরা সড়কে সুশাসন ও শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সড়ক নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম আমলে না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়, যা থেকে দেশব্যপী শিক্ষার্থীরা একযোগে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবিতে মাঠে নামে। তারা অত্যান্ত সুন্দরভাবে দেখিয়েছে, সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও সড়কে শৃঙ্খলা কিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন সময়ে দেওয়া পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহন করলে আইনটি সমৃদ্ধ ও যাত্রীবান্ধব হবে বলে আমরা মনে করি।’

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ১৯৮৫ সালের দণ্ডবিধিতে যে সংশোধনীর মাধ্যমে বেপরোয়া ও অবহেলা জনিত মোটরযান চালানোর মাধ্যমে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর কমিয়ে আনা হয়, হাইকোর্ট ২০১৪ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই আদেশ অনুযায়ী এ অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর বহাল থাকার কথা। অথচ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী প্রস্তাবিত আইনে তা ৫ বছর করায় কার্যত সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এবং জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন হয়নি। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও মতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।