‘বেঁধে দেওয়া ১০ শতাংশ কোটা কম বেশি করতে চাইলে আলাপে রাজি’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সংবাদ সম্মেলন কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে যদি তা সর্বসাকুল্যে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা হয় তাহলে সরকারের সঙ্গে আলাপে রাজি আছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এছাড়া বিশেষ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তা তাদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করছেন তারা।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, এই ১০ শতাংশের ভেতরে সব কোটাকে নামিয়ে আনতে হবে। আমরা যে ১০ শতাংশ বেঁধে দিয়েছি তা সরকার কম-বেশি করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। এ বিষয়ে আমরাও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কম-বেশি করতে পারি। তারপরও কোটা সংস্কারের জন্য যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তারা যদি মনে করেন ছাত্রদের সঙ্গে বসে আলোচনা করলে সুষ্ঠু সমাধান আসতে পারে তাহলে এক্ষেত্রে তারাও আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। আমরা যে ১০ শতাংশ বেঁধে দিয়েছি সেটা কম-বেশি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আলোচনা করা যায় সরকারের সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের জন্য যদি বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয় তাহলে সেটা আমাদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। একদিকে সরকারি চাকরিতে কোনও কোটাই না রাখার কথা বলা হচ্ছে, আরেকদিকে বলা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় চাকরি দেওয়া হবে। বিষয়টা সাংঘর্ষিক হচ্ছে।
এজন্য আমরা সুস্পষ্টভাবে ৫ দফায় উল্লেখ করে দিয়েছি, কোনও বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা থাকবে না। তাই বিশেষ ব্যবস্থা না করে তাদের জন্য কিছু কোটা রেখে দেওয়া হোক। তাহলে তো আর সমস্যা থাকছে না।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোটা বাতিল চাই না। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যারা আছে আমরা অবশ্যই তাদের কোটা চাই। আমাদের পাঁচ দফার মধ্যেও আমরা তা চেয়েছি। আমরা সংস্কার চেয়েছি বাতিল চাইনি।’