তিনি বলেন, পশুর হাটকে কেন্দ্র করে চক্রটি বাজারে এই টাকা চালাবে বলে তথ্য দিয়েছে গ্রেফতার আসামিরা। তবে তারা সুবিধা করতে পারবে না। কারণ প্রত্যেক পশুর হাটে জালনোট শনাক্ত করতে একাধিক মেশিন রয়েছে। এ বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, চক্রের মূলহোতা কাউসার হামিদ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগে দুটি কারখানা স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে জালনোট তৈরি করে আসছিল। দুটি কারখানায় আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করতো সে। লালবাগে জালনোট তৈরির জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন ও কালার ম্যাচিংয়ের কাজ করা হতো। আর কামরাঙ্গীরচরে জালনোটের ছাপা, ফয়েল পেপার লাগানো ও কাগজ কাটিংয়ের কাজ হতো। এছাড়া তার গ্রামের বাড়ি বরিশালেও একটি সাব-অফিস রয়েছে।
তিনি জানান, জালনোট তৈরিতে কাউসার খুব পারদর্শী। সে টাকার গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব ভালো পারতো। জিজ্ঞাসাবাদে কাউসার জানায়, সে এবং তার সহযোগী আলাউদ্দিন মিলে লালবাগের চার নম্বর এমসি রায় লেনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জালনোটের কারখানা গড়ে তোলে। তার অপর সহযোগী সজিব ও সালেহা সেখানে জালনোটের জলছাপ ও নিরাপত্তা সুতা স্থাপনের কাজ করতো। আগে কাউসার হামিদ তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে জালনোট তৈরির ব্যবসায় করতো পরে ২০০৪ সাল থেকেই নিজেই জালনোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনে আলাদাভাবে এ কাজ শুরু করে। এর আগে সে কয়েকবার জালনোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতারও হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন আরও বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের একটি টিম শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬১ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নাসিফ ইকবাল, আব্দুল আজিজ, বিল্লাল, মিলন, আসিব ও নাসিমা আক্তার। তাদের মধ্যে নাফিসের কাছ থেকে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের সঙ্গে কারা জড়িত সেটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।