শতভাগ মানুষের সাক্ষরজ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: গণশিক্ষামন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান (ছবি: সংগৃহীত)প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘শতভাগ মানুষের সাক্ষরজ্ঞান যেন সৃষ্টি হয় সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘এখন শুধু লিখতে-পড়তে পারলেই তাকে সাক্ষরতা বলে না। পড়ালেখার পাশাপাশি তাকে কর্মদক্ষ হলেই তাকে সাক্ষর বলা হচ্ছে।’ শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ এই প্রতিপদ্যে এবার সারাদেশে সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে।

গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টি এবং ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উপনুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন প্রণীত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রণীত ওই আইনের ফলে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে আমাদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। এখনও ২৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর রয়েছেন। তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও দক্ষ করে তোলাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ১০ ভাগ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন– প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ উজ জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইউনেসকো ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা।